
ভারতের বিপক্ষে দারুণ এক জয়ের আশাই একটা সময় জেগেছিল। ভারতের রানের পাগলা ঘোড়াটাকে বাগে রাখা গিয়েছিল, লক্ষ্যটাও ছিল শ্রীলঙ্কা ম্যাচেরই সমান– ১৬৯। তবে বাংলাদেশ সে লক্ষ্যটা তাড়া করা তো দূরের কথা, কাছাকাছিও যেতে পারেনি।বাংলাদেশের হয়ে এক সাইফ হাসানই লড়েছেন। ৫১ বলে ৬৯ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন। তবে তিনি বাদে বাকিরা স্রেফ আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। যার ফলে বাংলাদেশ ১২৭ রানে অলআউট হয়। ম্যাচ হারে ৪১ রানে।
এই ম্যাচের পর প্রথম দল হিসেবে ভারত চলে গেছে ফাইনালে। ভারতের পয়েন্ট এখন ৪। তাদের নেট রান রেটটাও বেশ স্বাস্থ্যকর, ১.৩৫৭। দুইয়ে থাকা পাকিস্তানের পকেটে ২ পয়েন্ট, তাদের নেট রান রেট ০.২২৬। তিনে থাকা বাংলাদেশের পয়েন্ট ২, তবে নেট রান রেট সবচেয়ে খারাপ তাদেরই, –০.৯৬৯। চারে থাকা শ্রীলঙ্কার পয়েন্টের খাতা শূন্য, তাদের নেট রান রেটও বাংলাদেশের চেয়ে ভালো, -০.৫৯০।
তবে ভারতের কাছে এই হারের পরও বাংলাদেশের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। বরং সমীকরণটা পরিষ্কার হয়ে গেল। শেষ ম্যাচে যে করেই হোক, পাকিস্তানকে হারাতেই হবে দলকে। সেটা হলে বাকিদের দর্শক বানিয়ে, কোনো হিসাব নিকাশ ছাড়াই ফাইনালে চলে যাবে বাংলাদেশ। আর যদি না পারে, তাহলে বাক্সপেটরা গুছিয়ে চলে আসতে হবে ঢাকায়। এদিকে শ্রীলঙ্কার বিদায়ঘণ্টা এই ম্যাচে বেজে গেছে। কারণ পয়েন্টের খাতা এখনো না খোলা তারা কোনোভাবেই ৪ পয়েন্টে যেতে পারবে না, অথচ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-পাকিস্তানের একটা দলের পয়েন্ট ৪ হবেই। আর তাই ফাইনালের আশাটা শ্রীলঙ্কার শেষ, আর বাংলাদেশ-পাকিস্তান মাঠে নামবে অঘোষিত সেমিফাইনালে।