রবিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৫, ১২:০১ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম
ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচনের তফসিল : সিইসি শাহজালাল বিমানবন্দরের অগ্নি নির্বাপণে যোগ দিয়েছে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা রাজনৈতিক মতবিন্যাসে ‘জুলাই সনদ’—বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কতখানি? আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবসে নাঃগঞ্জে মানব কল্যাণ পরিষদের র‌্যালী অনুষ্ঠিত এইচএসসি তে জলঢাকায় তিন কলেজের কেউ পাশ করে নি যশোরের কেশবপুরে সাংবাদিক সুশান্তের উপর হামলায় প্রতিবাদ সভা যশোরের কেশবপুরে সাংবাদিক সুশান্তের উপর হামলায় প্রতিবাদ সভা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে ইলেক্টেড সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চাই : ধর্ম উপদেষ্টা জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো : প্রধান উপদেষ্টা জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো : প্রধান উপদেষ্টা
শিরোনাম
যমুনা টিভির সৌজন্যে লাইভ চলছে...
রাজনৈতিক মতবিন্যাসে ‘জুলাই সনদ’—বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কতখানি?
/ ০ টাইম ভিউ
আপডেট : শনিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৫, ৯:১৬ পূর্বাহ্ন

রাজনৈতিক মতবিন্যাসে ‘জুলাই সনদ’—বাস্তবায়নের সম্ভাবনা কতখানি?
আওরঙ্গজেব কামাল : বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক মঞ্চ একটি দীর্ঘপ্রত্যাশিত চুক্তি মিলিয়ে
ফেলেছে — “জুলাই সনদ” বা “জুলাই ন্যাশনাল চার্টার” নামে পরিচিত রাজনৈতিক সমঝোতা প্রক্রিয়া শুক্রবার (১৮ অক্টোবর ২০২৫) এ প্রধান উপদেষ্টা সহ ২৫ টি রাজনৈতিক নেতাদের স্বাক্ষরিত মাধ্যমে বাস্তবায়নের রূপ নিল। এই প্রেক্ষাপটে, প্রশ্নটি ক্রমেই
গম্ভীর: “দলবিভেদ ও রাজনৈতিক বিবাদ-এর মধ্যে জুলাই সনদ আদৌ কতটা বাস্তবায়িত হবে?” সাম্প্রতিক বাস্তবতা ও চিহ্নিত ঘটনাসমূহ জনমনে নানা বিধি প্রশ্ন তুলেছে। দলগুলোর মতবিরোধ ও কমিশনের কার্যক্রম
ইতিমধ্যে, জাতীয় সমন্বয় কমিশন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে
আলোচনা করেছে। তবে কিছু প্রস্তাব, যেমন রেফারেন্ডাম আয়োজনের সময় এবং প্রক্রিয়া নিয়ে, দলে দলে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছে। যেমন: বিএনপি চায় রেফারেন্ডাম নির্বাচন সঙ্গে একযোগে হোক, আর অন্যরা
রেফারেন্ডামকে ভোটের পূর্বে আয়োজন করার দাবি তুলেছে। এই মতদ্বৈরথ ও আলোচনা-জটিলতা সনদ অঙ্গীকারগুলোর প্রয়োগকে বিলম্বিত করতে পারে। সমঝোতা আলোচনা ও সময়সীমা দাবি,নির্বাচন তারিখ নির্ধারণ এবং সংশোধন প্রক্রিয়া নিয়ে দলগুলোর দাবিসমূহের পার্থক্য রয়েছে। বহু পক্ষ দাবি করছে, নির্বাচন যত দ্রুত হবে, ততই মানুষের আস্থা বৃদ্ধি পাবে।
অন্যদিকে, কিছু দল ও নেতৃত্ব আশা করছে সনদর বৈধতা ও সমর্থন বাড়িয়ে
নির্বাচন ঘোষণার আগে নীতিমূলক পরিবর্তন ও সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করা হোক। নির্বাচনের আগে তৈরি হোক গণভোট। কিন্তু এসব মানতে নারাজ বিরোধীপক্ষ। জনমতের পরিস্থিতি ও মানুষের প্রত্যাশা BRAC-এর BIGD-আয়োজিত একটি ‘Pulse Survey’ অনুসারে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে ৪৮.৫ শতাংশ জনসাধারণ তাদের ভোট দেবে কাকে — তা এখনও নির্ধারণ করতে পারেনি। এ ছাড়া, জরিপে দেখা গেছে, জনগণের একটি বড় অংশ, প্রায় ৫১ শতাংশ, দাবি করছে—নির্বাচনের আগে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো সম্পন্ন করা উচিত। রাজনৈতিক উত্তেজনা ও সময়সীমার অশান্তি নির্বাচন সময়সীমা নিয়ে নানা ধরনের চাপ ও বক্তব্য প্রকাশিত হচ্ছে। জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। তবে তিনি বলেছেন কিভাবে নির্বাচন হয় এটা ঠিক করতে হবে রাজনৈতিক দলের সমঝোতার মাধ্যমে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করছেন, কিছু পক্ষ সাংগঠনিক দিতার্কিক
উদ্দেশ্যে “সংস্কার-বিতর্ক”কে ব্যবহার করতে পারে সময় কাটিয়ে দিতে।
একই সঙ্গে, রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ও রাজনৈতিক বাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক,
প্রশাসনের স্বকীয়তা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা—এসব বিষয়েই মানুষের সাড়া ও সন্দেহ ক্রমেই বাড়ছে।
আস্থা ও ইচ্ছাশক্তি ঘাটতি
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা অনেকটাই ক্ষুণ্ন রয়েছে। কেউ কোনো
সিদ্ধান্ত একেবারে বিশ্বাস করে না। সনদে স্বাক্ষর করলেই কাজ শেষ হয় না;
বাস্তব সচেতনতা ও নিঃস্বার্থ সহযোগিতা প্রয়োজন। নীতিগত পার্থক্য ও যান্ত্রিক দ্বন্দ্ব রেফারেন্ডাম-সময়, নির্বাচন পদ্ধতি, সংবিধানগত পরিবর্তন—এসব ক্ষেত্রে
দলগুলোর অবস্থান অনেকখানি ভিন্ন। এগুলো সমন্বয় করতে না পারলে সনদের বাস্তবায়ন করা সম্ভব না। এখন অনেকে প্রশাসন ও নির্বাচন সংস্থার নিরপেক্ষতা প্রশ্ন নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন যদি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত না থাকে, তাহলে সনদের প্রণীত শর্ত সঠিকভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হবে না। পুরানো অভিজ্ঞতা ও অভিযোগ জনগণের মধ্যে সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছে। সময়সীমা ও বাস্তবায়ন পরিকল্পনার ঘাটতি সরকার ও দলগুলোর তরফে সনদ-পন্থী মাইলফলক নির্ধারণ ও বাস্তব প্রয়োগ অগ্রগতি নিয়ে কাজ করার জন্য নির্ধারিত সময় ও পরিকল্পনা অপ্রতুল হয়েছে। বাস্তবায়ন সম্ভাবনা — উদার ও রূপরেখা বাস্তবে রূপ নিয়েছে।

সনদের যে অংশগুলোর বাস্তব প্রয়োগ অপেক্ষাকৃত বেশি সম্ভাবনাময়, সেগুলি হলো:

নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের গঠন ও দায়িত্বের পুনর্বিন্যাস

ভোটার তালিকা ও ভোটগ্রহণ পদ্ধতির স্বচ্ছতা

কার্যকরী আইন ও বিচারসংস্থার স্বাধীনতা বৃদ্ধি

সামাজিক অংশগ্রহণ ও গণমাধ্যমের স্বাধিকার নিশ্চিতকরণ

কিন্তু সনদের সকল শর্ত একযোগে, দ্রুত ও গভীরভাবে বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন
হবে। বিশেষ করে দলগুলোর পারস্পরিক দ্বিমত ও ব্যাহত উদ্যোগ বিষয়টি জটিল
করে তুলেছে।

নির্বাচন ফেব্রুয়ারি ২০২৬ কি হবে ‘জুলাই সনদ’-ভিত্তিতে?

একটি সম্ভাব্য দৃষ্টিকোণ হলো—ফেব্রুয়ারি ২০২৬-এ নির্বাচন ঘোষণা করা যেতে
পারে, যদি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পর্যাপ্ত সমঝোতা গড়ে ওঠে এবং সনদের
মাপদণ্ডগুলোর একটা বড় অংশ বাস্তবায়ন করা যায়।
Voice7 News

কিন্তু যদি দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা তৈরি না হয় বা প্রাসঙ্গিক রাজনৈতিক
বাধাগুলি কাটিয়ে ওঠা না যায়, তাহলে সনদটি কেবল একটি প্রতিশ্রুতি হিসেবে
থেকে যেতে পারে, বাস্তব প্রয়োগে—আংশিক বা শর্তসাপেক্ষ মাত্রায়।

উপসংহার

‘জুলাই সনদ’ একটি শুভ উদ্যোগ, একটি রাজনৈতিক সংস্কারে অঙ্গীকারের প্রতীক।
তবে বদলে যাওয়া রাজনৈতিক সংস্কৃতি, অধিক স্বচ্ছতা ও কার্যকর কর্তৃত্ব
ছাড়া, চুক্তি মাত্র কাগজেই সীমাবদ্ধ থেকে যেতে পারে।
বর্তমানে সনদের বাস্তবায়ন সম্ভাবনা অনেকটা শর্তসাপেক্ষ ও সীমিত বলেই মনে
হচ্ছে—কিন্তু সময় ও রাজনৈতিক দিকনির্ধারক সিদ্ধান্ত কিছুটা তা বদলাতে
পারে।

আপনি চাইলে আমি এই সম্পাদকীয়কে “সংক্ষিপ্ত নিউজ রির্পোট” আকারে তৈরি করে
দিতে পারি, যেন পত্রিকায় সরাসরি চালানো যায় — করবেন কি তা?

 

রাজনৈতিক মতভেদের মধ্যে জুলাই সনদ কতটুকু বাস্তবায়ন সম্ভাব এ প্রশ্ন সর্ব
সাধারনের মধ্যে ঘুর পাক খাচ্ছে। বিগত সরকার গুলির চরিত্র ও দেশের প্রতিটি
স্তরে চরম দূরর্নীতি । আইনের অপব্যবহারের মধ্যে জলুই সনদ কতটুকু পালিত
হবে। এনসিপিসহ কিছু দল এই সনদে সাক্ষর করেনি। এছাড়া আগামী তেরদশ জাতীয়
সংসদ নির্বাচন নিয়ে মত বিরোধ চরমে। পিআর না সাভাবিক ভাবে নির্বাচন এ
ধরনের অনেক বিরোধ একেবারে সন্মুখে বিরাজ করছে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে
ভয় রয়েছে। আজ প্রধান উপদেষ্ঠা ড. মোহম্মাদ ইউনুস সহ ২৫ টি দলের রাজনৈতিক
দলের নেতা কর্মীরা জুলাই সননে সাক্ষর করেন। ক্ন্তিু এনসিপিসহ কয়েকটি
রাজনৈতিক দল এই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি। সব মিলিয়ে দেশের পরিস্থিতি
জনকল্যাণমুলক নয়। ফেব্রুয়ারীতে নির্বাচন কি এই জুলাই সনদের ভিক্তিতে হবে
এ প্রশ্ন রয়েছে সর্ব সাধারনের মধ্যে ।

আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও খবর
আমাদের পেজ লাইক করুন

Recent Comments

No comments to show.