
মোঃ নুরুন্নবী কক্সবাজার প্রতিনিধ: দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় কক্সবাজারে এখন আলোচিত প্রশ্ন- কে হতে যাচ্ছেন কক্সবাজার পৌরসভার নতুন প্রশাসক? শহরের চায়ের দোকান থেকে শুরু করে রাজনৈতিক অঙ্গন, সর্বত্র গুঞ্জন- কক্সবাজার পৌর বিএনপির সভাপতি রফিকুল হুদা চৌধুরী, সাবেক পৌর মেয়র সরোয়ার কামাল, বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কিংবা সাবেক মেয়র প্রার্থী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রুহুল আমিন সিকদারের মধ্যে কেউ একজন হয়তো বসতে যাচ্ছেন কক্সবাজার পৌরসভার প্রশাসকের চেয়ারে।জরুরি।রাজনীতি সচেতন ব্যক্তিরা মনে করছেন- গুঞ্জন যতই থাকুক, শেষ সিদ্ধান্ত সরকারের হাতেই। তবে কক্সবাজারবাসীর প্রত্যাশা একটাই- যে-ই প্রশাসক হোন, তিনি যেন সত্যিকারের নগর পিতা হয়ে শহরের সেবা ও উন্নয়নে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন।অভিজ্ঞরা বলছেন- সাম্প্রতিক সময়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পৌরসভাগুলোতে রাজনৈতিক দল থেকে প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে- এমন গুঞ্জন শোনা গেলেও এ বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি প্রজ্ঞাপন বা আনুষ্ঠানিক নথি প্রকাশ হয়নি। তবে এমন তথ্যের উপর ভর করে বিভিন্ন স্থানে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন বলেও জানা যাচ্ছে।২০২৪ সালের আগস্টে জারিকৃত স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, সরকার বিশেষ পরিস্থিতিতে মেয়র ও কাউন্সিলরদের অপসারণ করে “উপযুক্ত ব্যক্তি” বা “সরকারি কর্মকর্তা”কে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে। এই “উপযুক্ত ব্যক্তি” শব্দটি থেকেই রাজনৈতিক নিয়োগের আলোচনা শুরু হয়, বিভিন্ন গণমাধ্যমেও এমন সম্ভাব্যতা নিয়ে খবর প্রকাশ পায়।এরই ধারাবাহিকতায় দেশের ৩৩০টি পৌরসভায় ইতিমধ্যে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে- তবে এখন পর্যন্ত সবাই সরকারি কর্মকর্তা। সম্প্রতি কয়েকটি জেলায় রাজনৈতিক নেতাদের নাম আলোচনায় এলেও, সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে রাজনৈতিক দল থেকে এখনও কাউকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করেনি।সব মিলিয়ে, বিষয়টি এখনো গুঞ্জন ও আলোচনার পর্যায়েই আছে; সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপেই স্পষ্ট হবে রাজনৈতিক নিয়োগের সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নেবে কি না।